সর্বশেষ সংবাদ >>

বণ দপ্তরের কর্মীদের গাফিলতির ফলে মৃত্যু হল এক হরিণের।

T24X7 প্রতিনিধি04/09/2019TRIPURA

বন উজাড় চলছে ধ্বংসলীলা। পরিবেশ ও প্রাণী জগৎ বাঁচবে কিভাবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। অ্যামাজন যখন জ্বলছে বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন তখন ত্রিপুরা রাজ্যের জঙ্গলে থাকা প্রাণীরা কতখানি সুরক্ষিত? খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে এসে ধরা পড়ছে বন্য প্রানী । কদমতলা থানা এলাকার ব্রজেন্দ্রনগর গ্রামের এক নং ওয়ার্ডে একটি হরিণ ধরা পড়ে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হরিণটি লোকালয়ে চলে আসে। স্থানীয় যুবকরা গৌর মোহন  দাসের বাড়িতে হরিণটিকে বেঁধে রাখে। গ্রামের উৎসাহী জনতা সেই বাড়িতে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পানিসাগর forest protection unit এর ইনচার্জ ফাংকিমা ডারলং। তিনি হরিণটিকে ধর্মনগর পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ব্রজেন্দ্র নগর থেকে ধর্মনগরের দীর্ঘ পথ হরিণটি ছিল গাড়ির পিছনে। গলায় দড়ি পায়ে দড়ি বাধা অবস্থায়। ঠিক গ্রামবাসী যেমন হরিণটিকে বেঁধে রেখেছিল। গ্রামবাসী কিভাবে প্রাণীদের রক্ষা করতে হয় তেমন সচেতন নয়। তাই বলে কি বনদপ্তর এর এই  আধিকারিক সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। মৃতের মত গাড়ির পিছনে ফেলে চরম অবহেলা ও অব্যবস্থার মধ্যে ধর্মনগর পশু হাসপাতালে আনা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা দু ঘন্টা অবজারভেশনে রাখেন। কিন্তু অবজারভেশনে রাখার মধ্যেই হরিণটির মৃত্যু হয়। প্রশ্ন হচ্ছে গাড়িতে এত জন লোক থাকা সত্ত্বেও কেন গাড়ির মধ্যে হরিণটিকে কোলে তুলে নিয়ে আসতে পারলেন না অফিসাররা। এটাই কি তাদের পশুপ্রেম,  প্রশ্ন তুলছে তথ্যভিজ্ঞ মহল। চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিটের ইনচার্জ অমিও সূত্রধর জানান তাদের কোন  এম্বুলেন্স নেই। যখন অব্যবস্থার প্রশ্ন করে সাংবাদিকরা তখন তিনি সরাসরি ফাংকিমা ড়ারলংকে দেখিয়ে দেন। বলেন তার গাড়ি করেই হরিণটিকে নিয়ে আসা হয়েছে।  তিনি তো বাইকে এসেছেন। তবে জানা গেছে ফরেস্ট বিট অফিসার ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ফাংকিমা ড়ারলং হরিণটিকে নিয়ে আসেন।এই হরিণটির মৃত্যুর জন্য কে দায়ী সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন । তবে কর্তব্যরত অফিসার যে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন তাতে দপ্তরের চোখে লাগবে কিনা জানা নেই।  কারণ সেই জেলা বন দপ্তরের সামনে কেবিনেটের লাইসেন্স না পেয়ে গরিব কাঠমিস্ত্রি নন্দু আত্মহত্যা করেছিল।  সেটাও দপ্তরের উচ্চ আধিকারিকদের চোখে লাগেনি।  আর হরিণ মৃত্যুর ঘটনা তো তাদের কাছে সামান্য। সব মিলিযে বন্য প্রাণীদের প্রতি প্রেম কতখানি তা আবার দেখিয়ে দিলেন ফাংকিমা ড়ারলং এর মত অফিসার।