১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দিলিপ সরকারের অকাল প্রয়াণে এই আসনটি শূন্য হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে এই কেন্দ্রে উপ নিরবাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। তার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থীর পর বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয় শাসক দল বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মিমি মজুমদার। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এইদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রথমে রাজধানীর ড্রপ গেইট এলাকায় সমবেত হয়। সেখান থেকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু হয়। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ সভাপতি তথা বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি টিঙ্কু রায়, সংখ্যা লঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি জসিম উদ্দদিন সহ অন্যান্যরা। মিছিলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনিয়। মিছিলটি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সন্মুখে এসে শেষ হয়। সেখান থেকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মিমি মজুমদার দলীয় নেতৃত্বদের সাথে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে গিয়ে রিটার্নিং অফিসারের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর বিজেপি প্রার্থী মিমি মজুমদার সংবাদ প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে দেসের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ধন্যবাদ জানান ওনাকে বাধারঘাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার জন্য। পাশাপাশি তিনি জানান প্রয়াত বিধায়ক দিলিপ সরকার যে কাজ গুলি অসমাপ্ত রেখে গেছেন, নির্বাচনে জয়ের পর তিনি সেই কাজ গুলি প্রথমে অগ্রাধিকার দিয়ে করবেন। এবং প্রয়াত বিধায়কের দেখানো পথ অনুসরণ করে তিনি কাজ করবেন।বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রটি একটি ব্যতিক্রমী বিধানসভা কেন্দ্র বলা বাহুল্য। রাজ্যে জখন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল তখনও এই আসনটি ছিল বিরোধীদের দখলে। সেই দিক থেকে বলা চলে এই আসনটি ব্যতিক্রমী। এই কেন্দ্র থেকে বেস কয়েকবার জয়ী হয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়ক দিলিপ সরকার। এলাকার একজন জনপ্রিয় বিধায়ক ছিলেন তিনি। সেই আসনে এইবার এক প্রকার চমক দিয়ে প্রদেশ বিজেপি মিমি মজুমদারকে প্রার্থী করেছে। তবে গণদেবতারা কাকে সমর্থন করবে তা এখনই বলা অসম্ভব। তাই আপাতত সকলের নজর এই কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিকে।