সর্বশেষ সংবাদ >>

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

T24X7 প্রতিনিধি01/10/2019TRIPURA

মঙ্গলবার হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ডেয়ারী উন্নয়ন মেলা-২০১৯। প্রদিপ প্রজ্জলনের মধ্যদিয়ে এই মেলার উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এইদিন ডেয়ারী উন্নয়ন মেলা-২০১৯ এর উদ্ধোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৯ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি গাভি পালনের কথা না বলতো তাহলে এই ৯ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেত না। এখনো গাভি বিতরণ শুরু হয়নি। কিন্তু যে মহল তৈরি হয়েছে তাতেই দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ নিজ উদ্যোগে ঋণ নিয়ে গাভি পালন শুরু করেছে।রাজ্যে যারা গাভি পালন করে উপার্জন করে তাদের কোন সম্মান নেই। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম বেতনে সরকারি চাকুরি করলেও তার সম্মান রয়েছে। রাজ্যের মানুষকে এই সেন্স থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কাজের কোন ছোট বড় হয়না। রাজ্যে আরও ৫০ টি  ডেয়ারী হতে পারে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে। কারন এই ক্ষেত্রে ১১০০ কোটি টাকার বিজনেস রয়েছে। ছেলে মেয়েরা এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে এই ১১০০ কোটি টাকা আটকানো যেতে পারে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।মেলাঘরের রুদ্রসাগরে ৫০ হাজার হাস দেওয়ার ঘোষণার পর নানান কথা হয়েছে। কিন্তু প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত ৭৩৪ জন সুবিধাভোগিকে ১৪ হাজার ৬৮০ টি হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় যে সকল হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হয়েছে সেইগুলি বর্তমানে ডিম দিচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম দফায় যে সকল হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হয়েছিল তার থেকে প্রায় ৭০০ হাঁসের বাচ্চা মারা গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় আর কোন হাঁসের বাচ্চা মারা যায়নি। এই হিসাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। কিন্তু পূর্বতন সরকার ২৫ বছরে কতগুলি শুকরের বাচ্চা প্রদান করেছে তা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হিসাব নেই।মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এইদিন আরও জানান পূর্বতন সরকারের সময় রাজ্যে যে পদ্ধতি চালূ ছিল তাতে রাজস্ব আদায় হতো মাত্র ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমান সরকার যে পদ্ধতি চালু করেছে তাতে রাজস্ব আদায় হচ্ছে ২৬ শতাংশ। ত্রিপুরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্বতন সরকারের সময় ত্রিপুরাতে সিডি রেশিও ছিল ৪৯ শতাংশ। বর্তমানে ত্রিপুরার সিডি রেশিও ৫৬ শতাংশ।আগে যেই ব্যাঙ্ক গুলি ছিল এখনো সেই ব্যাঙ্ক গুলিই রয়েছে।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সহ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা। এইদিনের অনুষ্ঠানে বেশকিছু সুবিধা ভোগীর হাতে গাভি ও দুগ্ধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বেশকিছু ঋণ প্রাপকের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।