সর্বশেষ সংবাদ >>

বহিরাগত যুবকরা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস নিতে ব্যাস্ত কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে।

T24X7 প্রতিনিধি03/09/2019TRIPURA

কুমারঘাটে হু হু করে বাড়ছে ড্রাগস সহ বিভিন্ন নেশা সামগ্রীর ব্যবহার ও আদান প্রদান। আর এই ড্রাগসের কবলে দিনে দুপুরেই বুদ হয়ে থাকছে এলাকার যুব সমাজ।  এমনকি বাইরে থেকেও অনেকেই এসে ড্রাগস নিচ্ছে কুমারঘাটের নির্জন এলাকাগুলোতে। রেল আসা যাওয়ার সময় বাদ দিলে আধিকাংশ সময়ই এক প্রকার জনশূন্য হয়ে পড়ে কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশন। আর এই জনশূন্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুমারঘাট এলাকা সহ বহিরাগত যুবকরা এসে প্রায়শই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস নিতে ব্যাস্ত কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে। ফের এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ছয় মাস পূর্বেও একই জায়গায় আগারতলার স্বপন দেবনাথ নামে এক যুবকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস নিতে দেখা গিয়েছিল কুমারঘাট রেলওয়ে স্টেশনে। ছয় মাসের মাথায় ফের এক যুবককে দেখা গেল দিনে দুপুরে কুমারঘাট স্টেশনে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস নিতে। অভিযুক্ত যুবকের নাম শুভঙ্কর চাকমা । বাড়ী ধলাই জেলার মনু থানাধীন ছৈলেংটা এলাকায়। জানাগেছে অভিযুক্ত যুবক এবং তার এক সহযোগী কুমারঘাট স্টেশনে দিনে দুপুরে বসে ড্রাগস নেওয়ার সময় স্টেশন চত্তরে আসা কয়েকজন যুবক ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে। পরে তাদের আটক করে । যুবকদের দেখে অভিযুক্তরা সিরিঞ্জ এবং ড্রাগসের কৌটো ফেলে প্রথমে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ব্যার্থ হয়। অবশ্য ড্রাগস নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ অভিযুক্ত যুবক। তার বক্তব্য সে আগে ড্রাগস নিতো । বর্তমানে এই পথ থেকে বেড়িয়ে এসেছে । কিন্তু উদ্ধার হওয়া ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ এবং ড্রাগসের কৌটো জানান দিচ্ছে বাচার জন্য অভিযুক্তের মিথ্যের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি। দিনেতো বটেই রাত হলেও কুমারঘাট স্টেশনে যাওয়াটাই বিপদের হয়ে পড়ে এই নেশাআসক্তদের দাপটে। কারন নেশাখোরদের অবাধ বিচরনে স্টেশন চলে যায়।  স্টেশনে অবাধে চলে মদ ড্রাগস গাঁজার আসর। অবাক করার বিষয় হল কুমারঘাট স্টেশনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্তেও কিভাবে বসছে এই নেশার আসর। হয়তো কোন রহস্য জনক কারনে পুলিশ সব দেখেও না দেখার ভান করে তাদের কর্তব্য সারছে। শুধু কুমারঘাট স্টেশনই নয় , কুমারঘাট পার্ক সহ শহরের বিভিন্ন নির্জন জায়গা এমনকি ভবতারিনী মায়ের মন্দীরও সন্ধ্যা হলে চলে যায় নেশাখোরদের কবজায়। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে কুমারঘাট থানার পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে  কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ। এসবের বিরুদ্ধে কুমারঘাট থানার পুলিশকি কোন সক্রিয় ভূমিকা নেবে? প্রশ্ন জনমনে।