টেপানিয়া আরি.ডি ব্লকের অন্তর্গত বাগমা,পূর্ব বারভাইয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুশীল পাল যিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক,পরিবারে ওনার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।কিছুদিন পূর্বে ওনার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মারা যাওয়ায় তিনি একজন শোকাহত পিতাও বটে।ওনি কষ্ট করে কিছু টাকা পয়সা জোগাড় করে ওনার বাড়ির পাশে নিজস্ব ৭ গন্ডা কৃষি জমিতে সবজির চাষবাস করেছিলেন। আবার বর্তমানে তিনি একজন অসুস্থ স্ট্রোকের রোগী হয়েও জীবন জীবীকা নির্বাহের খাতিরে ও পরিবার বাঁচানোর তাগিদে গায়ে খেঁটে কঠোর পরিশ্রম করে এই সবজিগুলোর চাষবাস করেছিলেন।কিন্তু আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে গিয়ে লক্ষ্য করেন-ওনার সবজি ক্ষেতের বেশিরভাগ গাছের গোঁড়া কোনো দুষ্কৃতিকারী কেটে সম্ভবত কাঁচি দিয়ে কেটে নষ্ট করে দেয়।
আর এই ঘটনায় কৃষক সুশীল পাল ও ওনার পরিবার নিজের ক্ষেতে সকাল সকাল এই রকম ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পেরে রিতিমতো হতাশ ও বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আত্মচিৎকার করতে থাকেন। কারন এটা ওনার জীবন জীবীকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। বর্তমান কোভিড এ গোটা দুনিয়া যখন জর্জরিত,এই সময়ে মানুষ এক প্রকার কাজ হারিয়ে বাঁচার উপায় খুঁজছে এমন সময় এই ঘটনা ওনাকে খুব আহত করেছে।
এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই পুরো এলাকায় সকল অংশের মানুষের মধ্যে ঐ অজানা দুষ্কৃতিকারীর প্রতি ঘৃণা ও ছি!ছি! একটা রব উঠতে থাকে।তবে কৃষক সুশীল পালের বক্তব্য অনুসারে,ঐ অজানা দুষ্কৃতিকারী অন্য কেউ নন,ওনার আপন ছোটো ভাই সুভাষ পাল,তিনি রাজনৈতিক ভাবে শাসক দলের সঙ্গেও যুক্ত।তবে ওনাদের মধ্যে পারিবারিক জায়গা সম্পত্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিবাদ লেগে থাকে এবং ক্ষতিটা বেশিরভাগ সুশীল পালের পরিবারকেই বহন করতে হয়।আজকের ঘটনার সন্দেহের তীর ওনার ছোটো ভাই বিজেপির নেতা সুভাষ পালের দিকেই বলে জানালেন সুশীল পাল ।কৃষক সুশীল পালের বক্তব্যের যে বিডিও ফুটেজ রয়েছে সেই বিডিও ফুটেজও তাই বলছে।বিগত দিনেও এলাকার গন্যমান্য লোকেরা উভয় ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে জায়গা সম্পত্তির সুষ্ঠভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতে চাইলেও তা সুরাহা হয় নি কোনোদিন,তবে তা এখন জেলা জর্জ কোর্টে গড়াচ্ছে।কিন্তু কৃষক সুশীল পালের মতে,আজকের ঘটনা পুরোপুরি অমানবিক যা ঠিক হয় নি।এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটালে কীভাবে বাঁচবেন ওনি ওনার পরিবার নিয়ে-এমন অভিমত ব্যক্ত করছেন।পরিশেষে,তিনি আজকের এই ঘটনায় রিতিমতো হতাশায় ভোগছেন।কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না।তবে এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত চান কৃষক সুশীল পাল।