বালি ছাড়া পাকা বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু বালি তোলার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকে। এদিকে বিশালগড় আর ডি ব্লকের অন্তর্গত গোলাঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বাজার সংলগ্ন তিন নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা বিজয় নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কারণে রীতিমতো নাজেহাল। কেননা এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবীর উপর নির্ভর এবং এই এলাকাটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তার মধ্যেও এই নদীতে একই এলাকার সুকান্ত ঘোষ নামে এক বালি মাফিয়া অবৈধ ভাবে মোট 8 থেকে 9 টি মেশিন দিয়ে বালি তুলে। এই অবৈধভাবে মেশিনের সাহায্যে বালি তোলার কারণে নদীর প্রচন্ডভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের জমি পর্যন্ত ভেঙে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও চরিলাম স্থিত মহাকুমা বন দপ্তরের আধিকারিক সহ সিপাহী জলা জেলার বনদপ্তর এর আধিকারিকের এই অবৈধ বালি তোলার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না!সাধারনের মনে প্রশ্ন উঠছে কী কারনে দপ্তর চুপ? কি সেই কারন যার জন্য বন দফতরের কর্মীরা অবৈধ বালি তোলার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? প্রশ্ন এলাকার সাধারণ জনগণ এবং এলাকার কৃষকদের। এলাকার মানুষের দাবী খুব শীঘ্রই যেন রাজ্য সরকার এলাকার সাধারন গরিব কৃষকদের মুখের দিকে তাকিয়ে অবৈধ বালি তোলার মেশিন গুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।