সর্বশেষ সংবাদ >>

ইট ভাট্টাতে কয়লার সঙ্কট এর পাশাপাশি কাজে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে বৃষ্টি, শ্রমিকরা চাইছে সরকার তাদেরকে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিক।

T24x7 প্রতিনিধি24/04/2020ত্রিপুরা

লক ডাঊনের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন ইট ভাট্টা গুলিতে আটকে রয়েছে বহু বহিঃরাজ্যের শ্রমিক। এইদিকে বেশিরভাগ  ইট ভাট্টায় সিজন শেষ। আর যে সকল  ইট ভাট্টাতে কাজ চালু হয়েছে সেই গুলিতে দেখা দিয়েছে কয়লার সঙ্কট। এমতাবস্থায় বহিঃরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা চাইছে সরকার তাদেরকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিক।

রাজ্যে ২৫১ টি ইট ভাট্টা রয়েছে। এই ভাট্টা গুলিতে ২২ হাজার ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। তাদের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। বহিঃরাজ্যে থেকে তারা এসেছে। এই ইট ভাট্টা গুলির মধ্যে ২০৭ টিতে সিজন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু লক ডাউনের কারনে শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরতে পারেনি। বাকি ৪৪ টিতে এখনো কাজ চলছে। তবে যে সকল ইট ভাট্টা গুলিতে কাজ শুরু হয়েছে, সেই সকল ইট ভাট্টার মালিক পক্ষ বর্তমানে নানান সমস্যার সন্মুখিন। কারন বেশিরভাগ ইট ভাট্টাতে বর্তমানে কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এক ইট ভাট্টার ম্যানেজার জানান সিজন প্রায় শেষ। বহিঃরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা লক ডাউনের ফলে আটকে পড়েছে। তাদেরকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। মালিক পক্ষ থেকে তাদেরকে বর্তমানে খাবার দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার থেকেও মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান বাংলাদেশ কিংবা মেঘালয় থেকে কয়লা আসছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মালিক পক্ষকে। 
 
 ৪৪ টি  ইট ভাট্টায় এখনো কাজ চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক লাগিয়ে শ্রমিকরা কাজ করছে। তবে এই ইট ভাট্টা গুলিতেও আর বেশিদিন কাজ চালিয়ে রাখা যাবে না। একদিকে সিজন প্রায় শেষ, অপরদিকে বর্ষা এসে গেছে। তার উপর কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বহিঃরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের অধিকাংশ বিহারের। এই শ্রমিকরা জানায় লক ডাউনের কারনে তারা আটকে পড়েছে। এই সময়ে তারা নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে পারলে ভালো হতো। ত্রিপুরা সরকার থেকে তাদেরকে মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে তারা ছেলে মেয়েদের নিয়ে কতদিন চলতে পারবে। তাই তাদের দাবি বিহার সরকার ও ত্রিপুরা সরকার কথা বলে তাদেরকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
 
একদিকে  ইট ভাট্টার মালিক পক্ষ যেমন বহিঃরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তেমনি অপরদিকে রাজ্য সরকারও এই শ্রমিকদের মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে প্রদান করেছে। কিন্তু তারপরও এই শ্রমিকদের কিছু সমস্যা রয়েছে। তারা বাড়ি ফিরে যেতে চায়। কারন এখন তাদের কোন কাজ নেই।  অধিকাংশ  ইট ভাট্টার সিজন শেষ হয়ে গেছে। এই শ্রমিকদের একটাই দাবি সরকার তাদেরকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিক। এখন দেখার তাদের দাবি মেনে সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।