সর্বশেষ সংবাদ >>

কাঞ্চনপুর সুভাষ নগর এলাকায় শাশুড়ি গৃহবধূ ঝগড়া করে শাশুড়ি গৃহবধূর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মৃতার বাবার।

T24x7 প্রতিনিধি22/05/2021ত্রিপুরা

কাঞ্চনপুর সুভাষ নগর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি গৃহবধূ ঝগড়া করে শাশুড়ি গৃহবধূ্র গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন গৃহবধূর পিতা।উক্ত গৃহ বধূর নাম মনোরমা দাস(২২) স্বামী গৌতম চন্দ্র দাস এবং শাশুড়ির নাম জয়ন্তী দাস। ঘটনা গত শনিবারের। ঘটনার বিবরনে জানা যায় মনোরমা দাস ও গৌতম চন্দ্র দাসের ছয় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয়ে মেয়ের শশুড় বাড়ীতে অশান্তি ছিল।  মেয়ের বাবা রমাকান্ত দাস জানান গত শনিবারে মেয়ে উনার বাড়ীতে আসে দুই ছেলে কে। বাবার বাড়ীর পাশে মেয়ের একটি মোরগের ফার্ম আছে। সেই ফার্মে কাজ করার জন্য দুপুরে উনার মেয়ে আসে।বেলা আড়াইটা নাগাদ কাজ শেষ করে ফেরার সময় উক্ত গৃহবধূর পিতা মেয়েকে খেয়ে যাবার কথা বলেন। মেয়ে জানায় ছেলের গৃহ শিক্ষক আসবে। খেয়ে যাবার সময় হবে না।  এই বলে মেয়ে বাড়ী ফেরার পর শাশুড়ি উনার মেয়ের সাথে ঝগড়া বাধায় এই বলে যে, কেন ছেলে দুটিকে গৃহবধূ তার বাপের বাড়ীতে নিয়ে গেল। এর পর রাত সাতটা নাগাদ পেশায় গাড়ী চালক মেয়ের জামাই গৌতম দাস বাড়ী ফেরে। বাড়ী গিয়ে সে ঝগড়া দেখে স্ত্রী কে একটি চড় মারে এবং সে স্নানে চলে যায়। চড় মারার ঘটনাটি মেয়ের জামাই উনাকে জানায় বলে জানান গৃহবধূর পিতা রমাকান্ত দাস। তিনি জানান এর পর হঠাৎ করে মেয়ে হাসপাতালে ভর্ত্তী শুনে উনারা হাসপাতালে যান। সেখানে মেয়ে কে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায় শাশুড়ী রান্না করার সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গৃহবধূর বাবা রমাকান্ত দাস আরও জানান মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে ধর্মনগর নেওয়া হয়, সেখান থেকে রেফার দিলে জিবিতে নেওয়া। কিন্ত গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা যায় মেয়ে মনোরমা। তিনি মেয়ের শাশুড়ীর বিরুদ্দ্বে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

এদিকে গৃহবধূর স্বামী গৌতম দাস জানায়, শ্বশুরের আনা অভিযোগ মিথ্যা। তার মা এই রকম কোন কাজ করে নি। মনোরমা নিজে কেরোসিন ঢেলে নিজ গায়ে আগুন দেয়। গৌতম আরও জানায় তার মা বৌ কে বকাবকি করত। এতে বৌ এর নানা দোষ থাকত। সে আরও জানায় সেও তার স্ত্রী কে বকাঝকা করলে মনোরমা এই ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করত। ঐ দিন ও তার মা এর সাথে ঝগড়া হচ্ছিল তার স্ত্রীর। সে ঘরে এসে বৌ এনং মা কে শান্ত করার চেষ্টা করলে মা শান্ত হলে বৌ ঝগড়া করে যাচ্ছিল। এতে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে স্ত্রীকে একটি চড় মারে এবং স্নানে চলে যায়। এর পর হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে এসে দেখে স্ত্রী নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে। সে এবং তার মা আগুন নেবানোর চেষ্টা করে। কিন্ত শেষ রক্ষা হলও না।
 
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর মনোরমার শরীরের নব্বই শতাংশ পুড়ে যায়। তাই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।