আগামী সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে এই প্রথম ইমরান পা রাখবেন সেখানে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরানের এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া, এফএটিএফ বা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাহায্যের বিষয়ে ইমরানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কী কথোপকথন হয়, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। দ্য প্রিন্ট'-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার কংগ্রেসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যতক্ষণ না ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে পাকাপাকি এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তাদের প্রতি সাহায্য বন্ধ রাখবে ওয়াশিংটন। এখানে উল্লেখ্য যে গতবছর জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের নির্দেশে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সবরকম সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প নিজেও বছরের প্রথম দিনটিতেই তুলোধোনা করেন পাকিস্তানের জঙ্গিনিধনের নীতিকে। তিনি বলেন বিগত ১৫ বছরে আমেরিকা পাকিস্তানকে ৩৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে কিন্তু তার পরিবর্তে ধোঁকা ছাড়া কিছুই দেয়নি। তিনি এও অভিযোগ করেন যে মার্কিনিরা যেই জঙ্গিদের শিকার করে আফগানিস্তানে, তাদেরকেই আশ্রয় দেয় পাকিস্তান। তার আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে সেনা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেও ট্রাম্প ভারতকে আহবান করেছিলেন সে-দেশে বড় ভূমিকা পালন করতে। সেদিনও পরোক্ষে মার্কিন রাষ্ট্রপতির নিশানায় ছিল পাকিস্তান।