বিশ্ব সাহিত্য - ইতিহাসে একনাগাড়ে দৈনিক কবিতা পত্রিকা প্রকাশের দৃষ্টান্ত কোথাও নেই। তবে বিগত দিনে বাংলা ও বিভিন্ন ভাষায় দৈনিক কবিতা পত্রিকা বেরিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।বন্ধ হয়ে গেছে হাতে গোনা কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পরেই। কিন্তু সময় বদলেছে। ক্রমশই অল্প হলেও এই প্রজন্মের কিছু হুজুগে তরুণ কবি ও সাহিত্যিকের মধ্যে সাহিত্যপ্রেম সজীব হয়ে আছে, প্রকৃতি ও সৃষ্টির রীতি মেনেই। তারা নিজেদের সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি প্রকাশ করে চলছে সাহিত্য পত্রিকা। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে এক অবিশ্বাস্য নজির গড়লো রাজ্যের দৈনিক অনলাইন কবিতা পত্রিকা 'দৈনিক বজ্রকন্ঠ'।হ্যাঁ, খুব সাড়া জাগিয়ই। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে এই কবিতা পত্রিকাটি ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের সকল অংশের পাঠক লেখকদের প্রবল প্রশংসা অর্জন করে চলছে।এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এখন পর্যন্ত অসীম ধৈর্যের সঙ্গে লাগাতার ৪০৫ (চারশো পাঁচ) দিন ধরে এই কবিতা পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে বিশ্ব সাহিত্যে একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে এর আগে এতদিন ধরে মুদ্রণ কিংবা অনলাইন কোনও মাধ্যমেই কোনও কবিতা পত্রিকা প্রকাশের এখন অবধি নজির নেই। ৬ মার্চ ২০১৯ এই দৈনিক পত্রিকাটির ৪০৫ তম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যাটি কবি রবীন বসু, কবি তানহিম আহমেদ, কবি উজান উপাধ্যায়,এর কবিতায় সাজানো হয়েছে। গত ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি এই কবিতা পত্রিকাটির পথ চলা শুরু করে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহর থেকে। পত্রিকাটি একনিষ্ঠভাবে সম্পাদনা করেন এই সময়ের অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী তরুণ কবি রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ। এই পত্রিকাটি নিয়ে রাজেশের স্বপ্ন অনেক, তাই দৈনিক বজ্রকণ্ঠ নিয়েই তাঁর যাবতীয় যাপন। পাশাপাশি নিমগ্নভাবে রাজ্য, দেশ ও দেশের বাইরে বহু পত্রিকায় নিজের লেখাটিও লিখে চলেছেন ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাসকারী এই তরুণ কবি। তাঁর সম্পাদিত দৈনিক বজ্রকণ্ঠ-তে নিয়মিত দেশ ও বিদেশের তরুণ কবি সহ বহু খ্যাতনামা কবি লিখে চলছেন। রাজেশের স্বপ্ন, সাহিত্যের যাবতীয় গণ্ডিগুলি ভেঙে একটি দল-গোষ্ঠীহীন সাহিত্য পরিবার হয়ে উঠবে দৈনিক বজ্রকণ্ঠ। উল্লেখ্য, রাজেশের হাত ধরেই ত্রিপুরার সাহিত্যের নতুন জোয়ার এসেছে। এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করে চলছেন তিনি। বিশ্ব সাহিত্যে রাজ্যের সম্মান এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই তরুণ কবি ।